বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান দান এবং তাদের সার্বিক বিকাশে সহকারী শিক্ষকগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রতিবছর প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী।
এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে।
পরীক্ষার ধরণ:
প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে MCQ পদ্ধতিতে বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষার জন্যে
যোগ্যতা:
প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে প্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিম্নরূপ:
- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক: এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, ন্যূনতম GPA 2.50।
- প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক: এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, ন্যূনতম GPA 2.25।
পরীক্ষার বিষয়:
প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্যে নির্ধারিত বিষয়গুলি হল:
- বাংলা
- ইংরেজি
- গণিত
- সাধারণ জ্ঞান
- শিশু শিক্ষা (শুধুমাত্র প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের জন্যে)
প্রস্তুতি:
প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের জন্যে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা, বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান, এবং মানসম্পন্ন বই ও গাইড ব্যবহার করা প্রস্তুতির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু টিপস:
- সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিন এবং সে অনুযায়ী পড়াশোনা করুন।
- নিয়মিত প্রশ্ন সমাধান করুন।
- বিগত বছরের প্রশ্নগুলি বিশ্লেষণ করুন।
- মৌখিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নিন।
- আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন।
উপসংহার:
প্রাথমিক